সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁহ, কক্সবাজার :: অবৈধ কাঠ উদ্ধারের নামে বসত বাড়ির দরজা-তালা ভেঙ্গে ঘরের আসবাবপত্র লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের আওতাধিন ফুলছড়ি বনবিট কর্মকর্তা আকরামের বিরুদ্ধে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ৬নং ওয়ার্ড লম্বাতলী গ্রামের মৃত হাজী মুহাম্মদ হোছাইনের পুত্র নুরুল হাকিমের বাড়িতে। এসময় বাসতবাড়ির কেহ ছিলনা বলে জানা গেছে।
এসময় বনবিভাগের লোকজন অভিযানের নামে ব্যাপক লুটপাট চালায় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগি পরিবার।
ঘরের মালিক নুরুল হাকিমের স্ত্রী শামসুন নাহার জানায়, এদিন তারা কেহ বাড়িতে ছিলনা। গত সোমবার তার স্বামী বিদেশ চলে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয়। তার সাথে পরিবারের সদস্যরাও পিত্রালয়ে যায়। এ সুযোগে ফুলছড়ি বনবিট কর্মকর্তাকে ভুলবাল বুজিয়ে কাঠ উদ্ধারের কথা বলে বিট কর্মকর্তা আকরাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বুধবার দুপুরে অভিযান চালায়।
শামসুন নাহারের দাবী অভিযানের নামে মুলত বাড়িঘর ভাংচুর করে আমাকে পথে বসিয়েছে। এখন আমাকে অর্ধাহারে অনাহারে খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন করতে হবে। আমি তিন ছেলে মেয়ে নিয়ে কোথায় যাব জানিনা। বন বিভাগ আমার প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকা ক্ষয়ক্ষতি করেছে।
জানতে চাইলে ফুলছড়ি বনবিটের হেডম্যান আবদু শুক্কুর বলেন, অবৈধ কাঠের খবর পেয়ে বনবিট কর্মকর্তার নেতৃত্বে আমরা অভিযানে যায়। এসময় বেশ কটি বাড়ি থেকে সামাজিক বাগানের অবৈধ কাঠ উদ্ধার করা হয়। বসতবাড়ি-তালা ভাংচুর করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন বসতবাড়ি ভাঙ্গা হয়নি, পরিত্যক্ত ঘর থেকে মুলত এসব কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে।
খুটাখালী ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লম্বাতলীতে অভিযানে গেলে ফুলছড়ি বনবিট কর্মকর্তা আমাকে ফোনে যেতে বলে,আমি দুরে থাকায় যেতে পারেনি। শুনেছি কয়েকটি বাড়ি থেকে প্রায় এক গাড়ি অবৈধ কাঠ উদ্ধার করেছে।
এ ব্যাপারে ফুলছড়ি বনবিট কর্মকর্তা আকরামের মুঠোফোনে বেশ কবার ফোন করা হলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ আবু জাকারিয়া বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
পাঠকের মতামত: